আমাদের মহাকাশে গোপন ‘সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক’
আমাদের এই সৌরজগতের মিলিয়ন মিলিয়ন অরবিট বা কক্ষপথ থেকে প্রাপ্ত সংখ্যাতাত্ত্বিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করার পর; তার গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, আমাদের মহাকাশে গোপন ‘সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এর সম্পর্কে ।
গবেষকরা মহাকাশে একটি বিকল্প পথের সন্ধান পেয়েছেন যা সৌরজগতের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলে বেশ কার্যকর; বিজ্ঞানীরা এই গোপন পথকে সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক বলছে।
এই পথ নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে যে মহাকাশের এই পথে যে কোন নভোযান অল্প সময়ে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে স্বক্ষম; এই পথের নভোযানগুলি অনেকটা গ্রহাণু এবং ধূমকেতুর মতোই চলাচল করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়াগো এর গবেষকরা বেশ আগে থেকেই নতুন এই পথ এর ব্যাপারে গবেষণা করে আসছেন; তারা অতি-সম্প্রতি গবেষণাটির হালনাগাদ সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশ করে।
উক্ত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, এই পথে পরস্পর একটা অন্যের সংযুক্ত কতগুলো দরজা রয়েছে; আর সেই দরজা গুলো গ্রহাণু বেল্ট থেকে ইউরেনাস হয়ে অনেকটা দূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে আছে।
ধারণা করা হচ্ছে এই পথই হচ্ছে ‘স্বর্গীয় পথ’ যা মিলিয়ন বছরের যাত্রা সময়কে কমিয়ে নিয়ে আসবে কয়েক দশক সময়ে; তারা দাবি করছেন যে, উক্ত পথ দিয়ে ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ যাওয়া যাবে মাত্র এক শতাব্দীর চেয়েও কম সময়ে।
আরো পড়তে পারেনঃ
(ক) কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে যেসব বিষয় জানা জরুরী!
(খ) এখন থেকে মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ৭ টাকা..!
(গ) কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?
গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়াগো এর বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, এই পথে রয়েছে শক্তিশালী মহাকর্ষীয় বল যা বৃহস্পতি পরিবারে গ্রহাণু এবং ধূমকেতুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
উক্ত পথের অরবিটাল পিরিয়ড ২০ বছর যা অনেকটাই সেন্টাউর্স (সৌর প্রক্রিয়ার ছোটোখাট কাঠামো) এর মতো; সৌরজগতের মিলিয়ন মিলিয়ন অরবিট বা কক্ষপথ থেকে প্রাপ্ত সংখ্যাতাত্ত্বিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এর গঠন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
উক্ত পথটি আবিষ্কারের আগে আমাদের মহাকাশে গোপন ‘সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক’ এর সম্পর্কে ধারণার ব্যাপারটি অনেকটাই গোপন ছিল; বিজ্ঞানীরা এব্যাপারে তেমন কিছুই জানতে পারেননি।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়াগো এর বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণায় এর সম্পর্কে সকল বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে এখন অনেকটাই ধারনা করতে পারছেন।
তাদের ধারণা এমন যে, এই সুপার-হাইওয়ে হচ্ছে পৃথিবীতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গ্রহাণু এবং উল্কাকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম নতুন আবিষ্কৃত পথ ; এমনকি এটি পৃথিবী-চাঁদ সিস্টেমে মানবসৃষ্ট কোনো বস্তুকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
তবে তাদের ধারণা গ্রহাণু, উল্কা কিংবা মানবসৃষ্ট কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে এই পথ কিভাবে সাড়া দেবে ,তা নিয়ে অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
- Published in Breaking News, Editorial, FEATURED, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- 1
- 2