
প্রশ্ন নং – ০১: টর্টের সংজ্ঞা দাও? উদাহরন সহ টর্টের সাধারন উপাদান সমুহ আলোচনা কর।
উত্তরঃ টর্ট ল্যাটিন শব্দ Tortum শব্দ হতে টর্ট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। টর্ট শব্দের আবিধানিক অর্থ হচ্ছে বাঁকা; সাধারন অর্থে টর্ট বলতে সোজা পথ হতে বাঁকা পথে চলাকে বুঝায়।
টর্ট এক প্রকার অপরাধ। ইহা দেওয়ানী অপরাধ। যেমন সকল অপরাধ টর্ট নয়; ইংরেজিতে বলা হয়, `Tort means wrong, but all wrong not a Tort’ ।
প্রত্যেক মানুষের সমাজে স্বাধীন ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে; এই স্বাধীনতায় যখন কেউ হস্তক্ষেপ করে তখন টর্ট আইন প্রতিকারযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।
টর্ট আইন রোমান মতবাদ `Alterium non leadere’ এ নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে; যার অর্থ হলো কথা বা কাজের দ্বারা কারো ক্ষতি না করা। বিভিন্ন মনীষি আইন বিজ্ঞানীগন টর্ট এর সংজ্ঞা প্রদান করেছেন; তবে সর্বজন স্বীকৃত কোন সংজ্ঞা পাওয়া যায়নি। এখানে কয়েকজন মনিষীর প্রদত্ত সংজ্ঞা প্রদান করা হলো-
Prof. Salmond- এর মতে, Tort is a civil wrong for which the remedy is a common law action for unliquidated damage and which is not exclusively the breach of a contract or the breach of a trust or other merely equitable obligation.
অর্থ টর্ট হলো এমন এক দেওয়ানী অপরাধ যার প্রতিকার হচ্ছে অনির্ধারিত আর্থিক ক্ষতিপুরণ, সাধারন আইনে প্রতিকারযোগ্য। ইহা কোন সম্পুর্ণরুপে চুক্তিভঙ্গ, বিশ্বাসভঙ্গ এবং অন্যান্য ন্যায়গত বাধ্যবাধকতার আওতায় পড়ে না।
Clerk & Lindsel এর মতে, Tort is a wrong independent of contract for which the appropriate remedy is a common law action. অর্থ- টর্ট হল সাধারন আইনে প্রতিকারযোগ্য এই অপরাধ- যা চুক্তিভঙ্গের পর্যায়ভূক্ত নয়।
Prof. Winnfield- এর মতে, Tortuous liability arises from the breach of a duty primary fixed by law this duty is towards person generally and its breach is repressible by an action for unliquidated damages.
অর্থ – এর আইনে নির্ধারিত কর্তব্য সমূহ লঙ্ঘন করলে টর্ট এর দায় দায়িত্ব সৃষ্টি হয়। এই কর্তব্য ব্যক্তি সাধারনের প্রতি এবং কর্তব্য লঙ্ঘন অনির্ধারিত ক্ষতিপুরণের মাধ্যমে প্রতিকারযোগ্য।
প্রশ্ন নং – ০২: কোন কোন নীতির উপর ভিত্তি করে টর্ট আইনের বিকাশ ঘটে? টর্টের দায়-দায়িত্ব সৃষ্টির জন্য কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান রহিয়াছে আলোচনা কর।
প্রশ্ন নং – ০৩: চুড়ান্ত দায় কি? রাইল্যান্ডস বনাম ফ্লেচার (১৮৬৫) মামলার নীতি ও ব্যতিক্রম আলোচনা কর।
প্রশ্ন নং – ০৪: মানহানী বলতে কী বুঝায়? লাইবেল ও স্লান্ডারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। মানহানীর অভিযোগ অত্মপক্ষ সমর্থনে কি কি যুক্তি দেয়া যেতে পারে বর্ণনা কর?
প্রশ্ন নং – ০৫: উৎপাতের সংজ্ঞা দাও? ব্যক্তিগত উৎপাত ও সাধারন উৎপাতের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন কর। ব্যক্তিগত উৎপাতের মামলায় বিবাদী কিভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে আলোচনা কর।
প্রশ্ন নং – ০৬: পরার্থ দায় কি? পরার্থ দায়ের ক্ষেত্রে কিভাবে ভূতের দায় নির্নয় করা যায়? পরার্থ দায়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন ঠিকাদারের দায়-দায়িত্ব আলোচনা কর।
উত্তরঃ