
এসও স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনক সময় দেখা যায় আমাদের হঠাৎ করে শুধু রাতে জ্বর আসে; দিনের বেলা হয়তো আপনি দিব্যি সুস্থ্য কিন্তু সারা রাত ছটফট করেন, ঘুম হয়না ও সকালে ক্লান্ত বোধ করেন; কারন রাতের জ্বর। রাতে জ্বর আসার সাধারন কারনসমূহ
এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয়না বা শরীরের প্রয়োজনীয় বিশ্রামটাও ভাল ভাবে হয়না; আপনাকে ফেলে দেয় এক অস্বস্তিতে; শুধু রাতে কেন জ্বর আসে তার জন্য বড় একটা চিন্তা তো হতেই পারে।
**গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার পর কিছু না খেলে কি কোনও সমস্যা হয়?
আপনি যদি শুধু রাতে জ্বরে ভোগেন তাহলে ভাল করে লক্ষণগুলো খতিয়ে দেখুন; যদি লক্ষণগুলো আপনার সাথে মিলে যায়, তবে এখনি ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করুন; জ্বর আসার নিশ্চিত কারণ আছে এবং সেগুলো থেকে রেহাই পাওয়া দরকারী। রাতে কী কী কারণে জ্বর আসতে পারে চলুন জেনে নেয়া যাক –
শ্বাসনালীর উপরের দিকে সংক্রমণ
ঠান্ডা লাগা ও অন্য কোনও শ্বাসনালীর সংক্রমণ থেকেও রাতে জ্বর আসতে পারে; কখনও স্রেফ সাধারণ ঠান্ডা লাগা আপনার শরীরে জ্বর এনে দেয়। কখনও আবার স্বরনালি, দুটো শ্বাসনালী আক্রান্ত হয়ে তীব্র সংক্রমণ সৃষ্টি করে যার থেকে রাতে জ্বর আসে।
এমনি ঠান্ডা লাগলে সারতে কিছুদিন লাগে কিন্তু অন্য কোনও সংক্রমণ সারতে কত সময় লাগবে নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর।
মূত্রনালীতে সংক্রমণ
মূত্রনালীতে কোনও রকমের সংক্রমণ থাকলেও কিন্তু জ্বর আসতে পারে। মূত্রনালীতে প্রচন্ড যণ্ত্রণা এবং উপস্থিত অধিবিষ বা টকসিন্ জ্বরের কারণ। আপনার উচিত ডাক্তার দেখানো; মূত্রনালীতে সংক্রমণ ডাক্তারি নিরীক্ষণ ও ঠিকঠাক ঔষুধ খেলেই হতে পারে।
বহিরাগত পাইরোজেন
পাইরোজেন বাইরে থেকে আসে এবং আপনার শরীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে; যার ফলে খুব জ্বর আসতেই পারে। আপনি দেখবেন এই পাইরোজেনরা অধিবিষ বা টকসিন সৃষ্টি করে যা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই হানিকারক।
শরীরের ভেতর মোনোসাইট ও ম্যাক্রোফেজেসের জন্য এই পাইরোজেন তৈরী হয় যার থেকে শরীরে জ্বরের আমেজ হয়; এটা রাতে জ্বর আসার কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ৯ টি প্রমানিত উপায়
ত্বকের রোগ বা সংক্রমণ
অনেক সময় চামড়ার কোনও সংক্রমণের জন্যও জ্বর আসতে পারে। যদি আপনরা ত্বকের কোনও রোগ আপনাকে সব সময় ঝামেলা করছে, সেটার একটা ব্যবস্থা করা উচিত এখুনি। এটা কিন্তু রাতে জ্বরের কারণ হতে পারে।
জ্বালা বা ফুলে যাওয়া
কোনও ঔষুধের প্বার্শক্রিয়া হিসেবে যদি কোনও জ্বালা বা ফুলে যাওয়া হয় তাহলে রাতে জ্বর আ্সতে পারে। এটা সাধারণ কোনও এ্যালার্জি হতে পারে যার প্বার্শক্রিয়া মারাত্মক। খেয়াল রাখুন ও যত তাড়াতাড়ি পারেন দেখিয়ে নিন।