বিরল প্রজাতীর গিরগিটির দেখা মিললো প্রায় শতবর্ষ পর।
বিরল প্রজাতীর গিরগিটির দেখা মিললো প্রায় শতবর্ষ পর।। যখন স্ত্রী ক্যামিলিয়ন শান্ত থাকে তখন এদের সবুজ দেখায়; কিন্তু কোনো পুরুষের মুখোমুখি কিংবা বিপদের সম্মুখীন হলে এদের গায়ের রং উজ্জ্বল কালো, সাদা ও নীল রং ধারণ করে। এই রং পাল্টানোর ঘটনাটি সম্ভবত তখনই ঘটে যখন এদের ডিম দেয়ার সময় হয়।
ভোয়েল্টজকোস ক্যামিলিয়ন (ফারসিফার ভোয়েল্টজকোয়ী)। এটি একটি গিরগিটি প্রজাতির প্রাণী; তবে বিগত এক শ বছরের বেশি সময় এদেরকে প্রকৃতিতে আর দেখা যায় নি।
পদ্মার তলদেশ দিয়ে দুর্গম ভেদরগঞ্জ বিদ্যুৎ পৌছে গেছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন যে, এই প্রজাতির গিরগিটি হয়তো পৃথিবী হতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১৮ সালে এর দেখা মেলে বলে গত বছরের শেষের দিকে খবরে উঠে আসে।
প্রাণী গবেষকদের একটি দল বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ছয় দিন অনুসন্ধান চালানোর পর এই প্রজাতির প্রাণীদের দেখা পায়; উত্তর-পশ্চিম মাদাগাস্কার এর পরিত্যক্ত একটি হোটেল বাগানে এর দেখা মেলে।
২০৬৪ সালের মধ্যে আমাজন বন বিলিন হতে পারে !
এসময় এরা আকারে বেশ সুনসান ও বড় ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউসিএন) প্রাণীটিকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় স্থান দিতে পারে। বিরল প্রজাতীর গিরগিটির দেখা মিললো প্রায় শতবর্ষ পর।
জানা যায় যে, গবেষক দল একটি গাছের ডালে ৩টি পুরুষ এবং ১৫টি স্ত্রী ক্যামিমিলিয়নকে চড়ে বেড়াতে দেখেছিল; এ সময় তারা আরো পর্যবেক্ষণ করেন যে, স্ত্রী ক্যামেলিয়ন গিরগিটি যখন পুরুষের মুখোমুখি হয় কিংবা কোনো বিপদে পড়ে, তখন এরা গায়ের রং পাল্টে ফেলে।
এদের তখন সবুজ দেখায় যখন স্ত্রী ক্যামিলিয়ন শান্ত থাকে। কিন্তু কোনো পুরুষের মুখোমুখি কিংবা বিপদের সম্মুখীন হলে এদের দেহের উপরিভাগ উজ্জ্বল কালো, সাদা ও নীল রং ধারণ করে।
আমাদের মহাকাশে গোপন ‘সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক’
বিপন্ন প্রজাতীর এই গিরগিটির রং পাল্টানোর ঘটনাটি সম্ভবত তখনই ঘটে যখন এদের ডিম দেয়ার সময় হয়; গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা ব্যভারিয়ান স্টেট কালেকশন অব জুওলজির ডিপার্টমেন্ট অব ভার্টেব্রেটসের প্রধান ফ্র্যাঙ্ক গ্লও এসব কথা জানান।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি অনুসন্ধানটি চালায় ২০১৮ সালে; পরে গত বছরের শেষের দিকে জার্মান জার্নাল স্যালমান্ড্রাতে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়; গবেষণায় ভোয়েল্টজকোস ক্যামিলিয়নের সঙ্গে ল্যাবোর্ডস ক্যামিলিয়নের তুলনা করা হয়।
গায়ে হলুদ হলো কিন্তু হলো না বিয়ে
তুলনায় দেখানো হয় দুটোই কাছাকাছি প্রজাতি। গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের তালিকায় থাকা ২৫টি মোস্ট ওয়ান্টেড লস্ট স্পিসিসের মধ্যে একটি ভোয়েল্টজকোস ক্যামিলিয়ন।বিরল প্রজাতীর গিরগিটির দেখা মিললো প্রায় শতবর্ষ পর।
শুধু মাদাগাস্কারেই ভোয়েল্টজকোস ক্যামিলিয়ন দেখতে পাওয়া যায়। এরা এখানকার এন্ডেমিক প্রাণী; ১৮৯৩ সালে এই প্রজাতিটিকে চিহ্নিত করেন অস্কার বোয়েটেগার; এই প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন অ্যা. ভোয়েল্টজকো। তার নামানুসারেই প্রজাতিটির নামকরণ করা হয়।
- Published in Editorial, FEATURED, Life, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি