গায়ে হলুদ হলো কিন্তু হলো না বিয়ে
গায়ে হলুদ হলো কিন্তু হলো না বিয়ে। বরযাত্রী আসার আগেই কনের বাড়িতে হাজির হয়েছে একদল পুলিশ সহ ভ্রাম্যমাণ আদালত; কারন বিয়ের জন্য নির্ধারন করা কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
তাই বন্ধ করা হলো সেই বিয়ে। ভ্রাম্যমান আদালত একই সঙ্গে কনের বাবাকে মুচলেকা ও জরিমানা করলেন নগদ ৪০ হাজার টাকা।
জানা যায় ১৮ই নভেম্বর বুধবার সকালে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর পৌর এলাকার কান্ঠালিয়া গ্রামে এই বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে; উক্ত ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মো. জুবায়ের হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
কান্ঠালিয়া গ্রামের ভাষান মণি দাস যে কিনা তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন তার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে এসে হাজির হয়।
জানতে পারেন নিচের খবরগুলিঃ
(১) যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়!
(২) এখন থেকে মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ৭ টাকা
(৩) কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?
আরো জানা যায় যে, মণি দাস এর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান মঙ্গলবার রাতে সম্পন্ন হয়। বুধবার ছিল কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান।
বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করেন।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার অপরাধে কনের বাবাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত; সেই সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দিবেন না এই মর্মে একটি মুচলেকা ও নেয়া হয়।
গায়ে হলুদ হলো কিন্তু হলো না বিয়ে এই মর্মে সহকারী কমিশনার মো. জুবায়ের হোসেন সাংবাদিকদের জানান জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। সুত্রঃ উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।