আপনার অজান্তেই মোবাইলের টাকা খোয়া যাচ্ছে না তো!!
আপনার অজান্তেই মোবাইলের টাকা খোয়া যাচ্ছে না তো!! দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীনফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক এর গ্রাহকদের ওয়েলকাম টিউন ছাড়াও বিভিন্ন সেবা যেমন; নিউজ অ্যালার্ট, গান, ভিডিও, ধর্মবিষয়ক অ্যালার্ট, মুঠোফোনের গেম ইত্যাদি সেবা প্রদান করে থাকে।
এগুলোকে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভিএএস বা টিভ্যাস) বলা হয়।
বিভিন্ন সময়ে আপনি না চাইতেই উক্ত সার্ভিসগুলো আপনার ফোনে সয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায় এবং আপনার অজান্তেই ব্যালেন্স এর টাকা কেটে নিচ্ছে উক্ত সেবা প্রদানকারীরা। এ দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের দীর্ঘদিনের অভিযোগ এটি।
গ্রাহকদের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ বিষয়টি তাই ধরাছায়ার বাইরে ছিল এতদিন ধরে। অবশেষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এমন অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগগুলোর মধ্য থেকে বিআরটিসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কর্মকর্তারা বাছাই করে ১০০ জন গ্রাহককে ফোন করেন ।
এদের মধ্যে ৪৬ জন গ্রাহকই জানিয়েছেন, টিভ্যাস সেবা চালুর আগে তাদের কাছ থেকে কোনো সম্মতি নেয়া হয়নি। এরপর অভিযোগগুলি যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)’র সিস্টেম এ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ।
জানতে পারেন নিচের খবরগুলিঃ
(১) যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়!
(২) এখন থেকে মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ৭ টাকা
(৩) কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?
প্রমাণ পেয়েই কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি); ইতিমধ্যে দেশের দুই মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের গ্রাহকদের দেয়া টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন বিটিআরসি।
উক্ত নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার কমিশনের পক্ষ থেকে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে তারা। উক্ত চিঠি অপারেটরগুলোর কাছে নির্দেশনার চিঠি ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় পৌছায়; নির্দেশনা পেয়েই অপারেটর দুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রবি সাংবাদিকদের জানায়, আমরা বিআরটিসি’র সঙ্গে এবিষয়ে কাজ করছি। শীঘ্রই বিষয়টির সঠিক সমাধান হবে বলে আমরা মনে করি।
অপর দিকে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার জনাব তাইমুর রহমান বলেন, উক্ত বিষয়ে বিটিআরসি’র সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে; তাদের নির্দেশনা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আমাদের মতামত আমরা বিআরটিসি’র নিকট তুলে ধরেছি।
বর্তমানে বিটিআরসি’র দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করছি; একটি গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা সব সময় অবশ্যই বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে চেষ্টা করে থাকি।
তাই বলায় যাই আপনার অজান্তেই মোবাইলের টাকা খোয়া যাচ্ছে না তো!!
সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ
- Published in Breaking News, Editorial, FEATURED, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য কথা