কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?
কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার? উল্লিখিত বিষয়টি বাংলাদেশ থেকে ই-মেইল এর মাধ্যমে এক ইমিগ্রেশন প্রত্যাশী জানতে চেয়েছেন; এক বাঙ্গালী ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে তিনি এটি জানতে চেয়েছেন।
এটি আমাদের সবারই সমান প্রশ্ন হয়ে থাকে, কানাডায় আসতে ইমিগ্রেশনের আবেদন করবেন, না জব বা চাকরির আবেদন করবেন?
এই বিষয় নিয়ে কিছু বলার ছিল সেই বাঙ্গালী ইমিগ্রেশন অফিসারের, যা হুবহু তুলে ধরা হলো-
কানাডায় চাকরির বাজার তেমন সুবিধার নয়; তবে এখানে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কিছু বিশেষ সুবিধার জন্য কানাডা সারা পৃথিবীর মানুষকে টানে। যদি তা না হতো তবে, এমন একটা ঠান্ডার দেশ কানাডায় কেউ কেন আসবে?
Know it. মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এখন যুবলীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
সামাজিক নিরাপত্তা বলতে যা বুঝি যেমন বাচ্চাদের পড়াশোনা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ফ্রি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ার জন্য স্বল্প সুদে স্টূডেন্ট লোন এর ব্যবস্থা রয়েছে, টিউশন ফি ও অনেক কম, ডাক্তার দেখালে কোনো ভিজিট (ফি) দেওয়া লাগে না, সিনিয়র সিটিজেনদের (৬৫ বা তার অধিক বয়সী) দের জন্য বিশেষ সুবিধা, এছাড়াও বিভিন্ন রকমের সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি।
কানাডায় মুলত চাকরির যে সুযোগটুকু আছে, তা প্রথমেই ভোগ করে কানাডার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা পিআর (PR) এবং সিটিজেনেরা। কোনো পদের জন্য কানাডায় উপযুক্ত লোক যদি না পাওয়া যায় তবে তারা বিদেশিদের জব অফার দেওয়ার কথা বিবেচনা করে।
বিষয়টা এখন স্পষ্টত যে কানাডার বাইরের দেশ থেকে একজন বিদেশির পক্ষে কানাডায় চাকরি জোগাড় করা কতটা সহজ বা কঠিন; এতে দেখা যায় যে ভারত, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে কানাডায় জব অফার দেওয়া নিয়ে নানা মুখরোচক বিজ্ঞাপন যা সিংহভাগ ভিত্তিহীন।
তবে এটা সঠিক যে, ভাগ্যক্রমে কোন জব অফার পেয়ে গেলে আপনার কানাডা ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে অনেকটা সহজ থেকে সহজতর; তবে এটি যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে নয়, জবেরও বিশেষ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে।
অন্যদিকে, কানাডায় যদি সরাসরি ইমিগ্রেশন নিয়ে আসেন তবে অনেক সুবিধা পেতে পারেন। এমনকি কানাডায় ল্যান্ড করার পরপরই আপনি পি.আর স্ট্যাটাস পেতেও পারেন; পি.আর হয়ে লেখাপড়া করতে লেখাপড়া খরচও অনেক কম। কম সুদে স্টূডেন্ট লোনও পাওয়া যায়।
যদি লেখাপড়া না করতে চান তবে সরাসরি চাকরিতে ঢুকতে চাইলে তার সুযোগ পাবেন। চাকরি পেতে যদি দেরি হয় তবে সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা (অ্যাসিস্ট্যান্স) ও পাওয়া যায়। তাই পড়াশোনা বা চাকরি যা-ই করতে চান না কেন, ইমিগ্রেশন নিয়ে আসার পর তা ভেবেচিন্তে ধীরেসুস্থে নিলেই ভাল। এ বিবেচনায় যদি বলা যায় তবে চাকরির আগে ইমিগ্রেশন নিয়ে আসার বিষয়টাই বেশি আকর্ষণীয়।
জানুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়!
আরো বলা যায় যে, কানাডার চাকরি কিন্তু বাংলাদেশের চাকরির মতো না ; এখানে বেশির ভাগ চাকরির ধরন বেশিরভাগই প্রাইভেট সেক্টরে। আর সরকারি চাকরি যদি পেয়েও যান তবুও উপরি আয়ের সুযোগ এখানে নেই; আমাদের দেশের মত ক্যাডার সিস্টেম বা প্রতাপশালী কোনো বিশেষ ক্যাডারও কানাডাতে নেই।
তার মানে, সরকারি চাকুরেরা অবৈধ প্রভাব খাটাতে পারে না, তেমন কোন পরিবেশ এখানে নেই; সরকারি চাকরিতে কোনো পদ খালি হলে নিচের পদের কাউকে প্রমোশন দিতে হবে, এরকম পদ্ধতিও কানাডাতে নেই।
প্রাইভেট সেক্টরের মত সরকারি অফিসেও খালি পদের জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞাপন দিতে হয়; তাতে উপযুক্ত যাঁকে পাওয়া যায়, তাঁকেই নির্দিষ্ট পদে নিয়োগ দিতে হয়; ফলে পদোন্নতি পেতে অফিসের বস বা পলিটিক্যাল বসদের চাটুকারীতার প্রয়োজন নেই।
এখানে বিশেষ আকর্ষন এই যে, এখানে চাকরিতে কখন কাকে বের করে দেওয়া হবে, সেটাও বলা বেশ মুশকিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের পারমানেন্ট চাকরির মতো কানাডার পারমানেন্ট চাকরি ততটা শক্ত-পোক্ত নয়।
Know it. মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এখন যুবলীগ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
ফলে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আপনি একটা চাকরি নিয়ে এলেও যে সে চাকরি কত দিন টিকে থাকবে, তার কোন গ্যারান্টি নেই।
আশা করি, বিষয়টি এখন সবার কাছেই ক্লিয়ার হয়েছে। এটি লিখেছেন একজন: কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট। কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?
For More you feel free to contact with mentioned e-mail: info@mlgimmigraton.com
- Published in Breaking News, Editorial, FEATURED, বিশ্ব পরিচিতি