আবহাওয়াসহ কিছু কারণে এবার লিচুর ফলন অন্তত ত্রিশ হাজার টন কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

৥৥ কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে যেসব বিষয় জানা জরুরী!

তবে দিনাজপুরের লিচু চাষি জিয়াউর রহমান বলছেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ করে কয়েকদিন কুয়াশা পড়েছিলো এবং বৃষ্টির আগেও কুয়াশা পড়েছে যা লিচুর জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।

“এবার এমনিতেই ফলন ভালো হয়নি। এখন বৃষ্টি হলে আবার পোকা লাগার আশঙ্কা আছে; সব মিলিয়ে ফলন কিছুটা কম পাচ্ছি আমরা,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

বাজারে এসেছে আগাম জাতের লিচু কিন্তু খাওয়া কতটা নিরাপদ

ড. মেহেদি মাসুদ বলছেন লিচুর মৌসুম সাধারণত ধরা হয় এক মাস। মধ্য মে থেকে মধ্য জুন সময়ে বাহারি লিচুতে ভরে যায় বাংলাদেশের বাজারগুলো।

কিন্তু এবার কিছু আগাম জাতের লিচু এসেছে যেগুলো অপরিপক্ব অবস্থায় গাছ থেকে তোলা হয়েছে।  জনাব মাসুদ বলেন সাধারণ মৌসুমের শুরুতে সাতক্ষীরার লিচু বাজারে আসে।

এরপর আসে পটিয়ার লিচু এবং এরপর মঙ্গলবাড়ী ও সোনারগাঁওয়ের লিচু। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর পাকতে শুরু করে এবং বাজারে আসা শুরু হয়।

লিচুর মৌসুমের ব্যাপ্তি এক মাসের মতো। চাষি জিয়াউর রহমান বলছেন, দিনাজপুরের কোথাও এখনো লিচু পাড়া শুরু হয়নি।

৥৥ এখন থেকে মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ৭ টাকা..!

এটি শুরু হবে আরও অন্তত এক সপ্তাহ পর। জনাব রহমান বলছেন, তারা সাধারণত বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজী ও চায়না-৩ জাতের লিচু চাষ করে থাকেন।

সরকারি হিসেবে লিচুর জন্যই সুপরিচিত এই দিনাজপুরে প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে লিচুর চাষ হয় এবং এ জমিতে গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি।

সাধারণত প্রতিটি গাছে এক মৌসুমে চার হাজারের মতো লিচু পাওয়া যায়। আর জেলায় উৎপাদিত লিচুর আশি ভাগই ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় চলে যায়।

৥২০৬৪ সালের মধ্যে আমাজন বন বিলিন হতে পারে !

কোন জাতের লিচু খেতে কেমন, দাম কেমন

ঢাকার গৃহিনী আফরিনা হোসেন নিজে ও তার সন্তানদেরও লিচু খুব প্রিয়; তার অভিযোগ এখন আর আগের মতো সুস্বাদু লিচু পাওয়া যায় না।  লিচুর মৌসুমের শুরুতে উৎপাদন কম হওয়ার আশংকায় কৃষকেরা।

“আগে সিজনের সব সময়ই সুস্বাদু লিচু পেতাম; গত কয়েক বছরে দেখছি লিচু আসে বাজারে বাজারে কিন্তু স্বাদ কমে গেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

নাহিদা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। তিনি বলেন মৌসুমে লিচু খেতে খুব পছন্দ করেন তিনি; দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হয়। “ভালো লিচুগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা,” বলছিলেন তিনি।

ড. মেহেদি মাসুদ বলছেন বাজারে লিচুর সময়কাল খুব কম; এছাড়া আগের তুলনায় অপরিপক্ব লিচু এখন বেশি বাজারে আনা হয় বলে ক্রেতারা স্বাদের লিচু বেশিদিন পায় না।

৥৥আমাদের মহাকাশে গোপন ‘সুপার-হাইওয়ে নেটওয়ার্ক’

তার মতে স্বাদের দিক থেকে সেরা চায়না-৩ জাতের লিচু এবং এটির ভক্ষনযোগ্য অংশ অনেক বেশি হয়; চীন থেকে আসা এ জাতটি ক্রেতাদের কাছেও অনেক সমাদৃত।

দিনাজপুর ও মাগুরাসহ কিছু জায়গায় এটির চাষ হয়; এর শ্বাস বা খাওয়ার অংশটা বেশ পুরু হয় আর খেতে খুবই সুস্বাদু। বাজার সাধারণত প্রতি পিস চায়না-৩ লিচু ৬/৭ টাকা বা তারও বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা যায়; এ ধরণের আরেকটি দামি লিচুর জাত বেদানা।

তবে বাজারে এটি কম পাওয়া যায় কারণ সরাসরি দেশের বাইরে যায় এ লিচুটি যার বাজার দর পিসপ্রতি ৮-১০ টাকা হয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত বারি-৩ জাতের লিচুতে গোলাপের ঘ্রাণ থাকে বলে দাবি অনেকের। খুবই সুস্বাদু এ জাতটি বাজারে আসে জুন মাসে।

এছাড়া যশোর, মেহেরপুর ও রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় বোম্বাই লিচুর চাষ হয়। চাষিরা বলছেন এই লিচু সংরক্ষণ করা কিছুটা সহজ।

৥ কানাডায় জব না ইমিগ্রেশন কোনটি আগে দরকার?

সময়কাল বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে

ড. মেহেদি মাসুদ বলছেন এখন লিচুর মৌসুম এক মাস হলেও এই সময়কাল বাড়ানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে।

“নতুন দু একটি জাত দিয়ে লিচুর মৌসুম এখন জুলাই পর্যন্ত নেয়া সম্ভব হয়েছে; সে কারণে জুলাইয়ের শুরুতেও এখন একটি জাতের লিচু আসছে; আমরা চেষ্টা করছি যাতে আরও কিছু জাত আনা যায় যার মাধ্যমে বাজারে বেশি সময় লিচু পাওয়া সম্ভব হবে;” সাংবাদিকদের বলছিলেন তিনি।

ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে পাটশিল্প